২০২১ এইচএসসি ১ম সপ্তাহের অ্যসাইনমেন্ট পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র উত্তর/সমাধান - জাহান বাংলা
গত ২৬ জুলাই ২০২১ সালে এইচএসসি শিক্ষার্থীদের জন্য অ্যাসাইনমেন্টর প্রকাশ করেন শিক্ষা বোর্ড। তোমাদের সুবিধার জন্য আমরা ২০২১ এইচএসসি ১ম ও ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র উত্তর / সমাধান প্রকাশ করেছি নিচে। এবং ২০২১ এইচএসসি ১ম ও ২য় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর পৌরণীতি ও সুশাসন এর ১ম পত্র PDF ডাউনলোড করতে পারবেন।
২০২১ এইচএসসি ১ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট পৌরণীতি ও সুশাসন ১ম পত্র উত্তর/সমাধান।
নমুনা উত্তরঃ
নাগরিকতার সাথে জড়িত সকল প্রশ্ন সম্পর্কে যে শাস্ত্র আলোচনা করে তাই পৌরনীতি। ই এম হোয়াইট এর এই সংজ্ঞার আলোকে পৌরনীতি ও সুশাসন এর বিষয়বস্তু ও পরিধি ক্রমবিকাশ সম্পর্কে একটি নিবন্ধ রচনা করো।
শিরোনামঃ পৌরনীতি ও সুশাসন বিষয়বস্তু ও পরিধি ক্রমবিবমশ
ভূমিকাঃ রাষ্ট্রের সাথে নাগরিকদের এবং অন্যান্য সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সাথে রাষ্ট্রের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা মধ্য দিয়ে অনচর্চার সুনির্দিষ্ট একটি ধারা হিসেবে পৌরনীতি প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। আধুনিককালে প্রত্যেক নাগরিক ও সংগঠনের রাষ্ট্রের নিকট হতে অধিকতর দায়িত্বসম্পন্ন সেবা প্রত্যক্ষান করে। এহনে বাস্তবতার, পৌরনীতির আলোচনায় সুশাসন বিষয়টি প্রধান্য পাচ্ছে।
পৌরনীতি ও সুশাসনের পরিধিঃ
পৌরনীতি ও সুশাসনের পরিধ ব্যাপক, পৌরনীতি ও সুশাসনের পরিধি সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ
১। নাগরিকতা বিষয়কঃ পৌরনীতি ও সুশাসনের মূলত নাগরিকতা বিষয়ক বিজ্ঞান নাগরিকের উত্তর মর্যাদাপূর্ণ জীবন প্রতিষ্ঠা করা পৌরনীতি ও সুশাসনের প্রধান লক্ষ্য, পৌরনীতি ও সুশাসন নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য, সচেতনতা, সুনাগরিকতা, নাগরিকতা অর্জন ও বিলোপ, নাগরিকতার অর্থ ও প্রকৃতি, সুনাগরিকের সুশাসন প্রভূতি সম্পর্কে আলোচনা করে।
২। মৌলিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিতঃ মানব সভ্যতার ইতিহাসে পরিবার হলো আদি ও অকৃত্রিম প্রতিষ্ঠান, কালের বিবর্তন ধারায় পরিবারের সম্প্রসারণ হয়েছে এবং গড়ে উঠেছে রাষ্ট্র ও অন্যান্য বহুবিধ সমাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, পৌরনীতি ও সুশাসন পরিবার থেকে শুরু করে সমাজ, রাষ্ট্র, রাষ্ট্রের উৎপত্তি ও বিকাশ প্রভূতি মৌলিক প্রতিষ্ঠান পৌরনীতি ও সুশাসনের অন্তর্ভুক্ত।
৩। রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আলোচনাঃ পৌরণীতি ও সুশাসনের সাথে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানসমূহ ওৎপ্রোতভাবে জড়িত, রাষ্ট্র, রাষ্ট্রের ধারনা, রাষ্ট্রের উৎপত্তি, রাষ্ট্রের কার্যবলি, রাষ্ট্রের উপাদান, সংবিধান, সংবিধানের শ্রেণিবিভাগ, সংবিধানের বৈশিষ্ট্য, জনমত, জনমতের বহন, নির্বাচকমূলক, রাজনৈতিক দল, নির্বাচন, কমিশন প্রভূতি পৌরণীতি ও সুশাসনের আলোচনার অন্তর্ভুক্ত।
৪। সামাজিক ও রাজনৈতিক বিমূর্ত নিয়ে আলোচনাঃ পৌরনীতি ও সুশাসন সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনের বিভিন্ন বিমূর্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। আইন, আইনের উৎস ও প্রকৃতি, আইন ও নৈতিকতা, স্বাধীনতা, সাম্য ও স্বাধীনতা, সাম্যের প্রকারভেদ প্রভূতি সম্পর্কে পৌরনীতি ও সুশাসন আলোচনা করে।
৫। রাজনৈতিক ঘটনাবলিঃ পৌরণীতি ও সুশাসন রাজনৈতিক বিভিন্ন ঘটনাবলি নিয়ে আলোচনা করে। যেমনঃ বাংলাদেশে পৌরনীতি ও সুশাসন পলাশীর যুদ্ধ, সিপাহী বিরহে, ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাব,১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৬৬ সালের ৬ দফা, ১৯৬৯ সালের দান অভ্যুস্থান, ১৯৭০ সালের নির্বাচন , ১৯৭১ সালের সম্পর্কে আলোচনা করে।
৬। সুশাসন সম্পর্কে আলোচনাঃ পৌরনীতি ও সুশাসন রাষ্ট্রের সুশাসনের বহুমাত্রিক ধারণা সম্পর্কে আলোচনা করে, সুশাসনের উপাদান, সুশাসনের সমস্যা, সুশাসনের সমাধান ও জনগনের ভূমিবল সম্পর্কে পৌরনীতি ও সুশাসন আলোচনা করে।
৭ / নারিকের অতীত , বর্তমান ও অবষ্যৎ নিয়ে আলােচনাঃ পােৱনীতি ও মুফান গায়কের আসর ও বার্তায় বর্তমান সরূপ চম্পর্ক অসন্মােচন করে এবং এর চমধ্যমে বেষ্যৎ চাষিক জীবনে অল ও স্বরূপের হাত প্রায়ন করে ।
৮। নাগরিকের স্থানীয়, আন্তর্জাতিক, জাতীয় দিক নিয়ে আলোচনাঃ পৌরণীতি ও সুশাসন নাগরিকের সামাজিক ও রাজনৈতিক কার্যবলির সাথে সমক্ত স্থানীয় সংস্থার যেমনঃ ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন ইত্যাদি। ক্ষমতা ও কার্যাবলি নিয়ে আলোচনা করে। নাগরিকের জাতীয় বিষয় যেমনঃ স্বাধীনতা আন্দোলন এর পটভূমি, মুক্তিযুদ্ধ, বিভিন্ন জাতীয় নেতার অবদান, দেশ রক্ষায় নাগরিকের ভূমিকা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও সংবিধান এবং বিভিন্ন ঘটনাবলি সম্পর্কে পৌরণীতি ও সুশাসন আলোচনা করে।
সুশাসনের বৈশিষ্ট্যঃ সুশাসনের মৌলিক ও প্রথমিক চরিত্র হচ্ছে সুশাসন আওতায় সকল কাজ হবে অপব্যবহার ও দূর্ণীতিমুক্ত এবং নায়পরায়ন ভিত্তিক ও আইনের প্রতি শর্তহীনভাবে অনুগত, সুশাসন এই চরিত্র বা বৈশিষ্ট্য বিস্তারিতভাবে আলোচনা করলে তা কয়েকটি বিষয়ের উপর দারুত্বাবোপ করে। নিচে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ
(ক) অংশগ্রহণঃ নারী পুরুষ নির্বিশেষে শাসনের কাজে সকলের প্রত্যক্ষ বা প্ররোক্ষ অংশগ্রহণ হচ্ছে প্রশাসনের অন্যতম ভিত্তি, রাষ্ট্রের আয়তন ও জনসংখ্যার অধিক হওয়ার কারণে বর্তমানকালে প্রত্যক্ষভাবে সকল শাসন কার্যে অংশগ্রহণ করতে পারে না সে কারণে পরোক্ষ অংশগ্রহণ মাধ্যমে হচ্ছে বৈধ প্রতিষ্টানসমূহ, অংশগ্রহণ অর্থ হচ্ছে বৈধ ও কার্যকারী যে কোন সংগঠন গড়ে তোলা স্বাধীনতা এবং এসব সংগঠন মাধ্যমে মতামত প্রকাশের সুযোগ, শুধু তাই নয় রাষ্ট্রের।